• শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
Headline
প্রান্তিক মানুষের দ্বাড়ে দ্বাড়ে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন আলহাজ্ব সোহেল হোসেন কায়কোবাদ জামালগঞ্জে জিয়া মঞ্চের ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন টাঙ্গাইলে মাঠ জুড়ে সোনালী স্বপ্ন, হলুদের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ছাতক উপজেলা জামায়াতের নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটির কর্মশালা কুষ্টিয়ার শিল্পপতির স্ত্রীর লাখ টাকার আমগাছ উধাও, থানায় অভিযোগ পাঁচবিবি সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ১শ এক বোতল মদ উদ্ধার লাকসাম থানায় ওপেন হাউজ ডে ও শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি ফখরুল সাধারণ সম্পাদক তাজুল নড়াইলে অবৈধ চিড়িয়াখানা থেকে ২৫ বন্যপ্রাণী উদ্ধার শিক্ষার মানোন্নয়নে মুরাদনগর নুরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ

টাঙ্গাইলে মাঠ জুড়ে সোনালী স্বপ্ন, হলুদের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

Reporter Name / ৩ Time View
Update : শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

 

মো. রনি ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি।।

টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়াঞ্চলে হলুদের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। অতিবৃষ্টি, খরা, প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে হলুদ চাষিরা তৃপ্তির হাসি হাসবেন। হলুদ চাষ অন্য ফসলের চেয়ে অধিক লাভজনক। অল্প জমিতে কম খরচে অধিক হলুদ চাষ করা সম্ভব। হলুদ চাষে নিয়মিত পরিচর্যার দরকার হয়না। এ ফসলে গরু, ছাগল ও পোকা-মাকড়ের কোনো উপদ্রব নেই, ফসল হানির শঙ্কাও কম। পরিত্যক্ত জমিতে হলুদের চাষ ভালো হয়। মশলা জাতীয় খাদ্যদ্রব্য হলুদের চাহিদা অনেক, দামও অন্য ফসলের চেয়ে ভাল। এ কারণে মধুপুরে দিন দিন হলুদের আবাদ বাড়ছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে এবছর ৮০০ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর ৭৬০ হেক্টর জমিতে হলুদের হয়েছিল। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছিল ৯ হাজার মেট্রিক টন। কোনো প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে এ বছর মধুপুরে প্রায় ৫৮ কোটি টাকার হলুদ বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। জানা যায়, মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে হলুদ একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য। প্রতিদিনের রান্নায় হলুদের ব্যবহার হয় সবচেয়ে বেশি। মসলা হিসাবে ব্যবহার ছাড়াও অনেক ধরণের প্রসাধনী কাজে ও রং শিল্পের কাঁচামাল হিসাবে হলুদ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল।

মির্জাবাড়ি ইউনিয়নের ব্রাহ্মনবাড়ি গ্রামের হলুদ চাষি রেজাউল করিম, আক্তার হোসেন, নজরুল ইসলাম জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরও তারা দশ বিঘা জমিতে হলুদ রোপণ করেছেন। অন্য ফসলের তুলনায় হলুদ চাষ অনেকাংশে সহজ ও লাভজনক। প্রতি বিঘায় সব মিলিয়ে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘায় ৭০ থেকে ৮০ মণ হলুদ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। বাজার মূল্য আশানুরুপ হলে প্রতি বিঘায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভের আশা প্রকাশ করেন তারা।

ভবানীটিকি গ্রামের বাপ্পি জানান, হলুদ রোপণের পর তা পরিপক্ক হতে প্রায় এক বছর সময় লাগে। তবে হলুদ চাষে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হয় না। সার ও কীটনাশকও ব্যবহার করতে হয় কম। প্রতি বিঘা জমি হলুদ চাষের জন্য খরচ হয় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ বাদে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়।

মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা জানান, মধুপুর উপজেলার জয়নাতলী, ভুটিয়া, অরণখোলা, বেরিবাইদ, কুড়াগাছা, মমিনপুর, মির্জাবাড়ি, গাছাবাড়ি এলাকায় প্রচুর পরিমাণ হলুদ চাষ হয়েছে। হলুদ বছরব্যাপী ফসল হওয়ায় সাথী ফসল হিসেবে কৃষকরা এর আবাদ করে থাকে। হলুদে তেমন কোনো ধরনের রোগবালাই নেই বললেই চলে। ফলে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। হলুদ রোপণ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে উপসহকারী কর্মকর্তারা মাঠে ভবানীটিকি গ্রামের বাপ্পি জানান, হলুদ রোপণের পর তা পরিপক্ক হতে প্রায় এক বছর সময় লাগে। তবে হলুদ চাষে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হয় না। সার ও কীটনাশকও ব্যবহার করতে হয় কম। প্রতি বিঘা জমি হলুদ চাষের জন্য খরচ হয় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ বাদে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়।

মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা জানান, মধুপুর উপজেলার জয়নাতলী, ভুটিয়া, অরণখোলা, বেরিবাইদ, কুড়াগাছা, মমিনপুর, মির্জাবাড়ি, গাছাবাড়ি এলাকায় প্রচুর পরিমাণ হলুদ চাষ হয়েছে। হলুদ বছরব্যাপী ফসল হওয়ায় সাথী ফসল হিসেবে কৃষকরা এর আবাদ করে থাকে। হলুদে তেমন কোনো ধরনের রোগবালাই নেই বললেই চলে। ফলে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। হলুদ রোপণ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে উপসহকারী কর্মকর্তারা মাঠে গিয়েও কৃষকদের পরামর্শ দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category